Nav

Showing posts with label হাঁসের পা লুলা বা ঘাড় বাকা এটি ডাক প্লেগ রোগের কারণ. Show all posts
Showing posts with label হাঁসের পা লুলা বা ঘাড় বাকা এটি ডাক প্লেগ রোগের কারণ. Show all posts

Tuesday, November 27, 2018

হাঁসের পা লুলা বা ঘাড় বাকা রোগের কারণ, এর চিকিৎসা পদ্বতি জেনে নিন।

আসসালামু আলাইকুম, হ্যালো ভিজিটর আশাকরি ভালো আছেন। আজকে হাঁসের Duck Plague. রোগ নিয়ে কিছু টিপস্ শেয়ার করব।

হাঁস যেসব রোগে থেকে বেশি আক্রান্ত হয় ডাক প্লেগ রোগে ।এই রোগের আক্রমন শিতের সিজনে  থেকে বেশি হয়ে থাকে। এটি একটি ছোয়াচে রোগ, তিব্র আক্রমনের ক্ষেত্রে হাঁস অনেক সময় দ্রুত মারা যায়।এই রোগে হাঁসের মৃত্যুর হার ৮০-৯০% আক্রমনের ক্ষেত্রে রোগের মাত্রা কম হলে কিছু চিকিৎসা প্রয়োগ করে বাচানো যেতে পারে। এই রোগে  যেসব লক্ষণ প্রকাশ প্রায়,

hasan21bd.blogspot.com
১ = হাঁসের ঘাড় বাকা হয়ে যায়।
২ =  পা অথবা পাখনা প্যারালাইজড হয়ে যায়।
৩ = ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সবুজ কালারের মল ত্যাগ করবে। 
৪ = আলো দেখলে ভয় পাবে।
৫ =  বুকে ভর করে বসে থাকবে।
৬ = সরদি হতে পারে।
৭ = পুরুষ হাঁসের ক্ষেত্রে পুরষাঙ্গ বেরিয়ে আসে।
৮ = হাঁস এক জায়গায় চুপ চাপ বসে থাকবে।
৯ = চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে।

চিকিৎসা পদ্বতিঃ এটি ভাইরাস জনিত রোগ, প্রাথমিক ভাবে এর কাযকরি  কোন চিকিৎসা নেই।তবে দ্বিতীয় অবস্থায় ব্যকটেরিয়া সংক্রমন রোধের জন্য এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা যেতে পারে। যেমন,
১ = Renamycin Powder. ৩-৭ দিন প্রয়োগ করতে হবে অথবা,
২ = Bactitab Powder. ৩-৭ দিন প্রয়োগ করতে হবে।
৩ = Cosumix Plus বার বার খাওয়াতে হবে ৩-৫ দিন।
৪ = সাথে স্যালাইন ইলেকট্রোলাইট বা ডেক্সট্রোলাইট ৫-১০ গ্রাম পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।

এই রোগ থেকে হাঁসকে মুক্ত রাখতে সঠিক পদ্বতিতে ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।হাঁসের বাচ্চা জন্মের পরে প্রথম  বার ২০-২৫ দিনের মধ্যে এবং দ্বিতীয় বার এবং ৪৫-৫০ দিন বয়সে এবং প্রতি ছয় মাস পর পর এই টিকার বুস্টার ডোস প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে এই রোগ থেকে হাঁসকে মুক্ত রাখা সম্ভব।

প্রতিরোধ ঃ বায়ো সিকিউরিটি বা জৈব নিরাপত্তা মেনে চললে এই রোগ থেকে হাঁসকে বাচানো সম্ভব হয়। যেমন,
১ =  সকল অসুস্থ হাঁসকে সুস্থ হাঁস থেকে পৃথক করে রাখতে হবে।
২ = বাজার থেকে কেনা হাঁস ৬-৭ দিন পৃথক স্থানে রেখে পযবেক্ষন করতে হবে। যদি সুস্থ মনে হয় তাহলে বাড়ির অন্য হাঁসের সাথে মিশতে দিবেন।
৩ = রোগে আক্রান্ত হয়ে কোন হাঁস মারা গেলে সেই হাঁসের মৃত দেহ বিষ্ঠা ও পালক মাটিতে পুতে ফেলতে হবে। এবং সেই হাঁসের বাস স্থান বা জিবানু নাশক ওষুধের মাধ্যমে বার বার ধুয়ে দিতে হবে।
৪ = বেশি ঠান্ডা পানিতে হাঁসকে নামতে দেওয়া যাবে না। বিশেষ করে শিতের সিজনে সকাল ৯ টার আগে হাঁস পানিতে নামতে দিবেন না।


ডাক প্লেগ রোগে আক্রান্ত হাঁসের মলের চিত্র দেখুন।
hasan21bd.blogspot.com
বিদ্রঃ ডাক প্লেগ রোগে আক্রান্ত হলে যে হাঁসের ঘাড় বেকে যায় সেই হাঁসের পা প্যরালাইজড হবে না। যে হাঁসের পা প্যারলাইজড হবে সেই হাঁসের ঘাড় বাকা হবে না, এই রোগে আক্রান্ত হলে ডায়রিয়া নাও হতে পারে। রোগ মুরত একই কিন্ত লক্ষন একেক সময় একেকটি প্রকাশ পায়।