Nav

Wednesday, November 28, 2018

পোল্ট্রি বিজ্ঞানে বায়োসিকিউরিটি বা জৈব নিরাপত্তা কি...?

আসসালামু আলাইকুম,
হ্যালো ভিজিটর আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে বায়োসিকিউরিটি বা জৈব নিরাপত্তা কি এই বিষয়ে আলোচনা করব।
hasan21bd.blogspot.com
বায়াসিকিউরিটি বলতে বুঝায় গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কবুতর, খরগোশ সহ অনান্য সকল গৃহে পালিত প্রাণিকে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি ও অন্যান্ন ভৌত ক্ষতিকর প্রভাব থেকে  প্রাণিকে মুক্ত রাখার সকল কার্যক্রম।

বায়োসিকিউরিটির বিবেচ্য বিষয় সমুহ কি কি...?

১ = খামার অথবা প্রাণির বাস স্থানের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে।
২ = খামারটি সম্ভব হলে আলো বাতাস চলাচল করে এমন উচু জায়গায় স্থাপন করতে হবে।
৩ = পঁচা ডোবা নালা এবং জলাবদ্ব স্থান থেকে দূরে খামার তৈরি করতে হবে।
৪ = খামারে বহিরাগত মানুষ ও প্রাণির প্রবেশ কঠোর ভাবে বন্ধ করতে হবে।
৫ = প্রাণির থাকার ঘর অবশ্যই আরাম দায়ক হতে হবে।
৬ = খাবার জন্য বিশুদ্ব এবং পরিষ্কার পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
৭ = বিশুদ্ব ্ও সুষম খাবার প্রদান করতে হবে।
৮ = বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। 
৯ = প্রতিটি কক্ষের জন্য পৃথক খাবার পাত্র এবং অনান্য উপকরণ এর ব্যবস্থা করতে হবে। 
১০ = খামার স্থাপনের জন্য এক খামার থেকে অন্য খামারের দূরত্ব ১০০-১৫০ ফিট হতে হবে।
১১ = রোগাক্রান্ত প্রাণিকে সকল সুস্থ প্রাণি থেকে পৃথক করে রাখতে হবে।
১২ = রোগাক্রান্ত প্রাণির থাকার বাসস্থান জিবানু নাশক দ্বারা জিবানু মুক্ত করতে হবে।
১৩  = মৃত প্রাণিকে মাটিতে পুতে ফেলতে হবে বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

উপরের ১৩ টি বিষয় গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কবুতর, খরগোশ সহ অনান্য সকল গৃহে পালিত প্রাণির জন্যই প্রযেজ্য। তাই এই সব বিষয় মেনে চললে প্রাণিকে বিভিন্ন রোগ ব্যাধির হাত থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব।